কীভাবে প্রোগ্রামিং শুরু করবেন?
প্রোগ্রামিং শুরু করার আগে যে জিনিসটা নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি সেটা হচ্ছে যে, তুমি কি সত্যি-ই প্রোগ্রামিং এ আগ্রহী? না, শুধুমাত্র লক্ষ লক্ষ টাকা আয় দেখে এই পেশা বেছে নিতে চাচ্ছো?
ভালো প্রোগ্রামার হলে শুধুমাত্র যে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়-ই হবে তা নয়, সেই সাথে সারা পৃথিবী হতে পারে তোমার কর্মস্থল! এমনকি কোনো দেশে না গিয়ে বাসায় বসেই করতে পারো সেই দেশের যেকোনো কোম্পানিতে চাকুরি! শুনতে অনেক স্মার্ট লাগছে তাই না? হ্যা, আসলেই প্রোগ্রামিং মানেই স্মার্ট কোনো কিছু, আর প্রোগ্রামার মানেই স্মার্ট।
প্রোগ্রামিং যে কেউ-ই শুরু করতে পারে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হয় টিকে থাকা এবং সাফল্য নিয়ে। একজন মানুষের যদি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে অধীর আগ্রহ না থাকে তাহলে সে এ ক্ষেত্রে বেশি দূর যেতে পারে না। এটি আসলে অন্যান্য যেকোনো পেশা থেকে একটু আলাদা। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং হলো এমন একটি পেশা যেটি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন হয়। তাই এই পেশায় টিকে থাকতে হলে নিজেকে সবসময় নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে হালনাগাদ বা আপডেট করে নিতে হবে। আরেকটি কুসংস্কার দূর করতে চাই যেটা হচ্ছে, অনেকেই মনে করে যে, শুধুমাত্র কম্পিউটার সাইন্স বা বিজ্ঞানের ছাত্ররা প্রোগ্রামিং করে বা তাদের জন্যই প্রোগ্রামিং! আসলে এটা সম্পূর্ণ ভূল একটি ধারণা। প্রোগ্রামিং আসলে সবার জন্য, এমনকি আগামী যে দিনগুলো আসছে তাতে যে কারও ই টেকনোলজির প্রাথমিক জ্ঞান থাকা বাধ্যতামূলক। তুমি যে বিষয়ে ই পড়ালেখা করো না কেন, তুমি চাইলেই প্রোগ্রামিং শিখতে পারো। এটা আসলে সবার জন্যই অপেন সোর্স বা খোলামেলা একটা বিষয়।
প্রোগ্রামিং শুরু করতে প্রথমেই তোমাকে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা নির্বাচন করতে হবে যেটা দিয়ে তুমি তোমার ভ্রমণটা শুরু করবে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দে ভোগে যে কোন ভাষা দিয়ে শুরু করা যায়। আসলে যেকোনো ভাষা দিয়েই তুমি শুরু করতে পারো কারণ প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর মূল বিষয় একই যার ফলে তুমি একটি শিখলেই অন্যটা সহজে শিখতে পারবে, শুধুমাত্র সিনটেক্স গুলো আলাদা। সেই সাথে তুমি কিছু বাংলা ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে দেখে শুরু করতে পারো তোমার প্রথম প্রোগ্রাম লিখার কাজ। এখানে একটি কথা বলে নেওয়া ভালো যে, তোমাকে ইংরেজি ভাষাটা ভালো করে জানতে হবে অন্যথায় বেশি দূর যেতে পারবে না। তাই প্রোগ্রামিং্যের সাথে সাথে ইংরেজির দক্ষতাও বাড়াতে হবে।
তাছাড়া, প্রাথমিক গণিত সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে অন্যথায় তুমি লজিক বা যুক্তি ডেভেলোপ তথা উন্নয়ন করতে পারবে না। আর প্রোগ্রামিং হচ্ছে সম্পূর্নই যুক্তি উন্নয়নের ব্যাপার। এ সেক্টরে ভালো করতে হলে তোমাকে যুক্তিতে ভালো হতে হবে, তোমার লজিক্যাল চিন্তা করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তোমার কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থাকতে হবে। আসলে প্রোগ্রামিং জিনিসটাই হচ্ছে ব্যবহারিক। তাই ডিজিটাল ডিভাইস না থাকলে তুমি সে ব্যবহারিক প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে না। সেই সাথে ইমারজেন্সি সাপোর্ট নেওয়ার জন্য তোমার ইন্টারনেট কানেকশন থাকা জরুরি। প্রোগ্রামিং আসলে কোনো কোচিং বা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হয়েই নিজে নিজে শিখা যায়। সেজন্য একটু কষ্ট করতেই হবে। সে বিষয় নিয়ে অন্য আরেকটি আর্টিকেল লিখবো। আজ আর নয়, সবার জন্য শুভ কামনা।
Comments
Post a Comment